পিকুর গোয়েন্দাগিরি
সপ্তর্ষি চ্যাটার্জী
রোজ রোজ চুরি যায় রসুই ও ভাঁড়ারে,
দুধ কলা ডিম মাছ সাফ করে কারা রে?
পিকুদের বাড়িতে, কালো কালো দাড়িতে
পুষেছে ছাগল এক, ঘাস খেত হাঁড়িতে।
মা’র ছাপা শাড়িতে, মুখ তার বাড়িয়ে
আয়েশে চক্ষু মুদে খায় শিং নাড়িয়ে।
বদমাশ ছাগলের নেই কোনও ধম্মো,
এ ব্যাটাই নির্ঘাত করে অপকম্মো!
চুপি চুপি দুপুরে, সেই চোর ধরতে
পিকুও পেতেছে ফাঁদ ভাঁড়ারের গর্তে।
এক বাটি ছোলাভেজা সেখানে রেখেছে,
উপরে দড়ির খাঁচা কেউ না দেখেছে!
বাটিতে যেমনি টান পড়বে তখুনি,
খাঁচা নেমে ঝুপ করে পাকড়াবে খুনি!
খুনি মানে খাবারের অতি সংহারক,
আড়ালে লুকনো দুষ্কর্মকারক।
‘আয় বাছাধন তোকে হাতেনাতে ধরি রে’
পিকুর বুদ্ধি ভাবো ওইটুকু শরীরে!
হঠাৎ জানালা দিয়ে ঢোকে ছায়ামূর্তি,
পিকু ভাবে এইবারে হবে ভারি ফূর্তি!
যেই পড়ে দড়ি টান অমনি অবাক,
পিকু দ্যাখে কে ওখানে পেড়ে চলে হাঁক!
কিচমিচ করে কে ও এত বড়ো লেজ?
এই বুঝি ঝেঁপে দেয় ভেজ-নন ভেজ?
ছাগল নয় তো দেখে এক হনুমান,
দাঁত খিঁচিয়েছে করে বিস্তৃত কান!
জানালা টপকে রোজ এই বাছাধন,
চুপিচুপি করে যেত রসনা সাধন।
ভুল সন্দেহ করে বেচারা ছাগলে,
শাস্তি দিয়েই দিত আরেকটু হলে।
ভাগ্যিস বুদ্ধিতে ছিল পিকু দড়,
গোয়েন্দা হবে ঠিক হয়ে গেলে বড়!
ইচ্ছে জাগলে এই গল্প পড়ে,
তোমরা খাটিও মাথা এমনই করে!
_____
অলঙ্করণঃ সপ্তর্ষি চ্যাটার্জী
পিকু ভারি ওস্তাদ ছেলে তো!
ReplyDeleteবাঃ, ভারী মজার ছড়া।
ReplyDelete