জিলিপির প্যাঁচ
সপ্তর্ষি চ্যাটার্জী
সপ্তর্ষি চ্যাটার্জী
সূর্যের ছায়া ফেলে জলভরা বাটিতে,
প্রফেসর পাকড়াশী আঁক কষে মাটিতে।
গোবর জ্বালিয়ে তার গ্যাস ভরে রকেটে,
গোটা মহাকাশখানা ভরে ফেলে পকেটে।
চড়ে তাঁরই বানানো সে কিম্ভূত নভোযান,
অনায়াসে চাঁদ থেকে মঙ্গলে চলে যান।
অন্য গ্যালাক্সিতে ভিনগ্রহী একঝাঁক,
কেরামতি দেখে তাঁর হয়েছিল হতবাক।
হয়েছিল যবে সেই তাঁর সাথে মোলাকাত,
বুদ্ধির দৌড়েতে হল তারা কুপোকাত।
সেই কথা আজ দেখি ডায়েরির পাতাতে,
লিখেছেন পাকড়াশী রুল টানা খাতাতে।
এই ধরাধাম থেকে দু’আলোকবর্ষ,
দূরে গিয়ে প্রফেসর খুশি দুর্ধর্ষ।
এমনি সে গ্রহখানা সাত রঙ ঝিলমিল,
আকাশে বেগুনিগাছ মাঠে মাছ কিলবিল।
একদল প্রাণী তারা তিন পায়ে হাঁটছে,
মাথা নিচে পা উপরে হাতে মেঘ ঘাঁটছে।
প্রফেসরে দেখে তারা ঘিরে ফেলে চারদিক,
অচেনা আগন্তুক দেখে হাসে ফিক ফিক।
আসলে সে হাসি নয় বিপদের সংকেত,
মানুষ জবাই করে খাবে বুঝি কাটলেট।
এলিয়েনগুলো ধরে লাঠি গুলি বোমা,
প্রফেসর ঝোলা থেকে হাতে নেন ঠোঙা।
জুলজুল চোখে তারা চেয়ে চেয়ে দেখে,
পাকড়াশী জিলিপিটা দেখছেন চেখে।
রসে টইটম্বুর ঘিয়ে ভাজা প্যাঁচে,
দেখে শুনে জিভগুলো জলে ভরে গ্যাছে।
হাঁউ মাঁউ খাঁউ বলে যেই তারা ধায়,
পাকড়াশী ঠোঙা ফেলে এই মওকায়-
একছুটে উঠে গিয়ে আপন রকেটে,
স্বস্তিতে জিভখানা ফেললেন চেটে।
আহা বাসি জিলিপিরা ছিল ভাগ্যেতে,
নইলে যে যেতে হত ব্যাটাদের পেটে!
ভেব না এ আজগুবি, একদম খাঁটি
প্রফেসর লিখেছেন সব পরিপাটি।
শুধু এই কথা জেনে যদি ভালো লাগে,
এক কেজি জিলিপিও ভরে দিও ব্যাগে।
পার্সেলে ঠিকানাটা লিখো গ্রহ – শনি,
আজকাল সেখানেই ঘাঁটি তাঁর শুনি।
_____
অলঙ্করণঃ সপ্তর্ষি চ্যাটার্জী
খুব ভালো হয়েছে।
ReplyDeleteBah khub sundar.
ReplyDeleteDaruun
ReplyDeleteBhalo laglo :D
ReplyDeleteজিলিপির প্যাঁচ নিয়ে এলো সপ্তর্ষি
ReplyDeleteমনে হয় এলিয়েনরাই ওর পড়শী