ভূতের চাকরি
সুজাতা চ্যাটার্জী
রয়েছে বসে একলা,
ভূতের ছানা প্যাংলা,
চোখ দিয়ে তার টস টস পড়ে জল।
ভূত বলছে আর না,
এবার থামা কান্না,
কে তোকে কি বল্লো সেটাই বল।
ও বাবা গো শোনো,
ভুল করিনি কোনো,
ইচ্ছে ছিল জব্দ করার জ্যান্ত মানুষ
ছানা।
ভয় পেল না কিচ্ছু,
এমন সেটা বিচ্ছু,
আমায় দেখে বেঁকালো তার বিশ্রী মুখখানা।
ভীষণ রেগে ভূত,
বল্লো, “আরে দুৎ,
এর জন্যে কান্না-কাটি একটুও আর নয়,
তোতে আমায় মিলে,
রাতের বেলা গেলে,
দেখবি কেমন মানুষ ছানা, আপনি পাবে ভয়।”
যেই না হল রাত,
ধরলো হাতে হাত,
ভূতের ছানা বাবার সাথে করতে গেল কাজ।
রাতের অন্ধকারে,
লাফ যদি সে মারে,
মানুষ ছানা ভয়ের চটে ভিরমি খাবেই আজ।
লম্ফ দিয়ে জোরে,
ঢুকল দুজন ঘরে,
নাড়ল বড় কান,
মারল জোরে টান,
দুই জনাতে হাত-পা নেড়ে ভয় দেখাল কষে।
ছোট্ট ছেলে
হা,
বল্লো ডেকে
“মা,
দেখো কেমন
নাচছে এরা দুই জনাতে মিলে।”
ভয় পেল না
একটু,
এমন সেটা
দুষ্টু,
হাসতে হাসতে
পড়ল শেষে ঘুমের ঘোরে ঢুলে।
ভূতের মাথায়
হাত,
দুই জনাতে
কাৎ,
বাড়ি ফিরে
কেমন করে মুখ দেখাবে আজ?
বল্লো ছেলের
মা,
চিন্তা করো
না,
এই বাড়িতে
থাকতে দেব, সঙ্গে দেব কাজ।
তোমরা বাবা
ছেলে,
নাচ দেখাবে
মিলে,
দুষ্টুটাকে
ঘুম পাড়াবে সকাল বিকেল রোজ।
মাইনে দেব
ভালো,
নিভলে দিনের
আলো,
থালা ভরে
করবে বসে ভাজা মাছের ভোজ।।
______
ছবিঃ দ্বৈতা
হাজরা
সুন্দর
ReplyDeleteভাল লাগল ছন্দ, ভাল লাগল আইডিয়া ।
ReplyDelete