মগজাস্ত্র:: জানুয়ারি

মগজাস্ত্র

ম্যাজিক ল্যাম্পের আর একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল মগজাস্ত্র। খেলব আমরা তিনটে অংশে। প্রথম ভাগে থাকছে উক্তি বা সংলাপ নিয়ে কিছু সহজ প্রশ্ন। দ্বিতীয় অংশে থাকছে সাধারণ কিছু প্রশ্নের খেলা। আর শেষ ভাগে থাকছে ছবি দেখে গল্প চেনার খেলা।

সংলাপ, উক্তি, ডায়লগ বা কোটেশান যাই বল না কেন একজন মানুষকে অন্যের থেকে আলাদা করে চিনিয়ে দিতে পারে। তার নিজস্ব একটা পরিচিতি তৈরি হয়ে যায়মানুষ চলে যায় কিন্তু তার বলে যাওয়া কথাগুলো রয়েই যায়। ঠিক তেমনই বইয়ে পড়া চরিত্রগুলো বাস্তব হয়ে ধরা দেয় তাদের বলে যাওয়া বিখ্যাত কিছু উক্তির মধ্য দিয়ে। আমরা কি কোনওদিন ভুলতে পারব জটায়ুর সেই বিখ্যাত উক্তি ফেলুদার প্রতি, ‘আপনাকে তো কালটিভেট করতে হচ্ছে মশাই’ এবার ম্যাজিক ল্যাম্পের পাতায় রইল তোমাদের জন্য কিছু বিখ্যাত অথবা একটু কম বিখ্যাত উক্তি। তোমরা খুঁজে বার করবে বক্তা কে এবং গল্পের নামহ্যাঁ, স্রষ্টার নাম তো অবশ্যই বলবে। উত্তরও দেওয়া আছে, তবে আগে নিজেরা চেষ্টা করবে, কেমন?

১। “মৃত্যুর পরের অবস্থা আমি জানি
২। “খুনের দায়ে অভিযুক্ত হলে পর ও আংটি কি আপনার কোনও কাজে আসবে?”
৩। “তফাত যাও, তফাত যাও! সব ঝুঁট হ্যায়, সব ঝুঁট হ্যায়!”
৪। “তুমি বড্ড হাঁ-করা ছেলে, যা দ্যাখো তাতেই হাঁ করে থাকো কেন অমন? জোরে হাঁটো
৫। “ফাইট, কোনি ফাইট!”
৬। “ম্যায় ভুখা হুঁ!”
৭। “পিসেমশাইয়ের বাড়িতে গোরু  আছে, দুধও হয় - কিন্তু পিসেমশাই কাউকে খেতে দেন না - বলেন, ও তো শিশুর খাদ্য। দুধ তিনি বিক্রি করেনঘি? আরে রামো—কোন ভদ্রলোকে ঘি খায়? এক সের তেলে তাঁর বাড়িতে ছ’মাস রান্না হয়। মাংস? পিসে বলেন, ‘ছিঃ জীবহিংসা করতে নেই
৮। “বাবার সঙ্গে যেবার আফ্রিকা গিয়েছিলাম, তখন কত খেয়েছি। ওগুলো খেলে গায়ে দারুণ জোর হয়। সেই জন্যই তো আমি এক ঘুঁষিতে একটা নারকোল ফাটিয়ে দিতে পারি
৯। “চল, তোমার অসুখের সময় যে সব বলেছিলে, মনে আছে? সেই হলদে হীরের খনি?”
১০। “স্বাধীন ভারতে ইংরাজী ফলাবার দরকার কী? এই জন্যই জাতির আজ বড় দুর্দিন

এবার মগজাস্ত্রের দ্বিতীয় অংশ, কুইজ
খেলব প্রশ্ন-উত্তরের খেলা। ম্যাজিক ল্যাম্পের বন্ধুরা চটপট নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দিয়ে দাও তো দেখি।

১। সংকটকালীন হরমোন কাকে বলে?
২। প্রথম জীবন সৃষ্টি হয়েছিল -----
৩। ভারতের পবিত্র তীর্থ ক্ষেত্র অমরনাথ কোন রাজ্যে অবস্থিত?
৪। ভারতের প্রথম মুসলিম রাষ্ট্রপতির নাম কী?
৫। মার্বেল রক কোন শহরে গেলে দেখতে পাবো?
৬। মেরিকম সিনেমায় মেরিকমের ভূমিকায় অভিনয় করতে কোন অভিনেত্রীকে দেখা গেছে?
৭। ইংল্যান্ডের বাগান কোন শহর কে বলা হয়?
৮। আগ্রা শহরের প্রতিষ্ঠাতা কে?
৯। ভারতের প্রথম মহিলা বৈমানিক ছিলেন .........
১০। আমেরিকার জাতীয় খেলা কী?

তৃতীয় বা শেষ পর্যায়ে এসে গেছি আমরা। আগের বারের মত এবারও আছে ছবি দেখে গল্প চেনো।
দেখো তো চিনে নিতে পারো কি না!
মগজাস্ত্রের উত্তর 

সংলাপের উত্তর গুলো তাহলে দেখে নেওয়া যাক

১। প্রোফেসর শঙ্কুর গল্প কম্পু। কথাটা বলেছিল ‘কম্পু’। কম্পু এমন একটা কম্পিউটার যে সব কিছুই জানত, সব বলে দিতে পারত আগে থেকে। কম্পুকে বানিয়েছিলেন প্রোফেসর শঙ্কু। লেখক হলেন সত্যজিৎ রায়।
২। বুঝতেই পারছ কথাটা বলেছিল ফেলুদা। বনবিহারী বাবুকে। ফেলুদার অ্যাডভেঞ্চার ‘বাদশাহি আংটি’ তোমরা অনেকেই পড়েছলেখকের না আর নাই বা বললাম।
৩। রবীন্দ্র নাথ ঠাকুরের গল্প ‘ক্ষুধিত পাষাণ’। বক্তা হলেন মেহের আলি।
৪। ‘পথের পাঁচালি’ উপন্যাসে হরিহর ছেলে অপুকে বলেছিল। লেখক হলেন বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায়। না পড়া থাকলে পড়ে নিও চট করে।
৫। মতি নন্দীর কোনি উপন্যাসের ক্ষিতেশ বলেছিল তার ছাত্রী কোনিকে যার আসল নাম ছিল কনকলতা। কোনি ছিল সাঁতারু আর ক্ষিতেশ তার কোচ। কোনির ক্ষিদ্দা। খুবই বিখ্যাত সংলাপ।  সিনেমাটা নিশ্চয় সবাই দেখে ফেলেছ এত দিনে।
অবন ঠাকুরের ‘রাজকাহিনী’-র পদ্মিনী থেকে নেওয়া। কথাটা বলেছিলেন রানি পদ্মিনী উবর দেবীর রত্নালঙ্কার পরে, অর্থাৎ তিনি বোঝাতে চেয়েছেন যে দেবী যুদ্ধ চাইছেন। বীরের রক্তেই দেবীর পিপাসা আর খিদে মিটবে। রাজপুতদের কিছু অংশ যুদ্ধ করবেন কি না সেই বিষয়ে কোনও স্থির সিদ্ধান্তে আসতে পারছিলেন না।
৭। নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়-এর অমর সৃষ্টি টেনিদা ছাড়া আর কে বলতে পারে! গল্পের নাম ‘একাদশীর রাঁচি যাত্রা’।
৮। বানিয়ে বানিয়ে গল্প বলছে জোজো। গল্পের নাম ‘সন্তু ও এক টুকরো চাঁদ’। লেখক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়।
৯। বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায়-এর  ‘চাঁদের পাহাড়’ উপন্যাসের শঙ্কর বলেছিল।
১০। আবার সেই টেনিদা। যার আসল নাম ছিল ভজহরি মুখোপাধ্যায়গল্পের নাম ‘দি গ্রেট ছাঁটাই’।

কুইজের উত্তরগুলো এবার দেখে নেবো।

১। অ্যাড্রিনালিন, ২। জলে, ৩। জন্মু ও কাশ্মীর, ৪। জাকির হোসেন, ৫। জব্বলপুর,
৬। প্রিয়াঙ্কা চোপড়া, ৭। কেন্ট, ৮। সিকন্দর লোদি, ৯। দূর্বা বন্দোপাধ্যায়, ১০। বেসবল

ছবি দেখে গল্প চেনো।
ছবি দেখে গল্পগুলো এতক্ষণে তোমরা নিশ্চয় চিনে ফেলেছ। চল, একবার উত্তর গুলো মিলিয়ে নিই আমরা।

১। কালো ঘুড়ি - হিমাদ্রি কিশোর দাগুপ্ত
২। ময়ূরবাড়ি রহস্য - সুকান্ত গঙ্গোপাধ্যায়
৩। তুষার চিতার খোঁজে - কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায়
৪। কমিক্স দ্বীপে টিনটিন - রতনতনু ঘাটী
৫। ছকটা সুদোকুর - সুচিত্রা ভট্টাচার্য
৬। সবুজ দ্বীপের রাজা - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়

আবার সামনের সংখ্যায় মগজাস্ত্র নিয়ে হাজির হয়ে যাবে তোমাদের প্রিয় ম্যাজিক ল্যাম্প।

মগজাস্ত্র বানাতে যাদের মগজ লেগেছে তারা হলেন অনন্যা দাশ, সহেলী চট্টোপাধ্যায় এবং তন্ময় বিশ্বাস।
-----------------
ছবি - তন্ময় বিশ্বাস

No comments:

Post a Comment